বৃহস্পতিবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈরুত বিস্ফোরণ : গুরুতর আহত বাংলাদেশের নৌসদস্য এখন শঙ্কামুক্ত

ডেস্ক নিউজ : লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে সদস্য গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্ততর (আইএসপিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আহত ২১ জন সদস্যের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১১ জন।

গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের একটি ওয়্যারহাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ের (বিএনএস বিজয়) ২১ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টারে (এইউবিএমসি) ভর্তি করা হয়। যিনি এখন শঙ্কামুক্ত হয়েছেন। অন্যদের জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা বাহিনী কর্তৃপক্ষের (ইউনিফিল) তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌসদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ১১ জন ছাড়া পেয়েছেন।

২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ ইউনিফিলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজটি লেবাননের ভূখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবাননের জলসীমায় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে।

বৈরুতের গত মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে অন্তত ১৩৫ জন নিহত এবং চার হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর লেবাননে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় চার বাংলাদেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েক জন।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জানান, বৈরুত বন্দর এলাকার একটি ওয়্যারহাউসে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো বিস্ফোরক পদার্থ অনিরাপদভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।

লেবাননের কাস্টমসপ্রধান বাদ্রি দাহের জানান, তাঁর সংস্থার পক্ষ থেকে ওয়্যারহাউসের রাসায়নিক পদার্থ সরিয়ে নিতে বলার পরও তা সরানো হয়নি।

বলার পরও কেন সরানো হলো না, সে বিষয়ে বাদ্রি দাহের বলেন, ‘এর কারণ জানার দায়িত্ব আমরা বিশেষজ্ঞদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছি।’অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাধারণত সার ও বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

এই বিভাগের আরো খবর